বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ বন্যাকবলিত সিলেটের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় দেড় হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে। পৌঁছে দিয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে। এছাড়া খাদ্য এবং চিকিৎসাসেবাও দিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বিভাগীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়
সভায়সভাপতিত্ব করেন, বিভাগীয় কমিশনার ড মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। সিলেট ও সুনামগঞ্জের সর্বশেষ বন্যা পরিস্থিতিনিয়ে বক্তব্য রাখেন, সিলেট সিটিকরপোরেশনের মেয়র আরিফুলহক চৌধুরী, ডিআইজি অব পুলিশ মফিজউদ্দিন আহম্মেদ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ জাকারিয়া, দেবজিৎ সিংহ, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো মজিবর রহমান, সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ ও সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ।
এছাড়া সেনাবাহিনী প্রতিনিধি ও বিজিবি প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধিরা বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিজ দপ্তরের কর্মতৎপরতা তুলে ধরেন।
বিভাগীয় কমিশনার সভা থেকে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন।
সভায় জানানো হয়, বন্যার্তদের ত্রাণের কোনসংকট নেই; কিন্তু পর্যাপ্ত নৌযানের অভাবে উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এরপরও বিরামহীন উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী। উদ্ধার কাজে ভূমিকা রাখছে বিজিবি এবং পুলিশও। এছাড়া সেনাবাহিনী ও বিজিবির পক্ষ থেকে উদ্ধারকৃদেরকে খাদ্য ও চিকিৎসাসহ অন্যান্য সেবা দেওয়া হচ্ছে।
সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর আরও কয়েকটি দল সিলেট ও সুনামগঞ্জে আসছে বলেও সভায় জানানো হয়।
সভায় ঝুঁকিমুক্ত এলাকায় বিদ্যুৎসরবরাহ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু রাখারউপর গুরুত্ব আরোপ করে এ ব্যাপারে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেওয়া হয়।
সিসিক মেয়র সভায় জানান, কুমারগাঁওবিদ্যুৎ কেন্দ্র নিরাপদ রাখতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় ১০০ জন শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে সিসিকের থেকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি জেনারেটর দেওয়া হয়।