৮ দিনের রিমান্ডে মডেল পিয়াসা, মৌ ৪ দিনের

Model Piasa in remand for 7 days, Mau in 4 days

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় আলোচিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌকে আরেক দফা রিমান্ডে নেয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।এবার রাজধানীর তিন থানার পৃথক তিনটি মাদক মামলায় পিয়াসাকে আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আর মৌকে একটি মামলায় চার দিনের রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে পিয়াসার এবং সত্যব্রত শিকদারের আদালতে মৌয়ের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

গত ২ আগস্ট গুলশান থানার মাদক মামলায় পিয়াসাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। ওই রিমান্ড শেষে শুক্রবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর গুলশান থানার মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

এছাড়া রাজধানীর ভাটারা থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিন এবং খিলক্ষেত থানার আরেক মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

তিন মামলার শুনানি শেষে বিচারক গুলশান থানার মামলায় দুই দিন, ভাটারা থানার মামলায় তিন দিন ও খিলক্ষেত থানার মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মাদক মামলায় মডেল মরিয়ম আক্তার মৌকেও শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মোহাম্মদপুর থানায় মাদক আইনে করা মামলায় তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে সিআইডি।

শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার মরিয়ম আক্তার মৌয়ের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ২ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমামের আদালত মৌয়ের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই রিমান্ড শেষে তাকে আবারও চার দিনের রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি পেয়েছে সিআইডি।

গত ১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে প্রথমে রাজধানীর বারিধারায় মডেল পিয়াসার বাসায় অভিযান শুরু করে পুলিশ। পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়।

পিয়াসার দেয়া তথ্যে মডেল মরিয়ম আক্তার মৌয়ের রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাবর রোডের বাসায় অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ উদ্ধার করা হয়। পরে রাত ১টার দিকে মৌকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকেও ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়।

দুই মডেলকে আটকের পর পুলিশ জানায়, মডেল পিয়াসা ও মৌ সংঘবদ্ধ একটি চক্রের সদস্য। তারা পার্টির নামে উচ্চবিত্তদের বাসায় ডেকে মদ ও ইয়াবা খাইয়ে আপত্তিকর ছবি তুলে রাখতেন। পরে সেই ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতেন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad