ইউরোপে কোভিশিল্ডের জন্য বাণিজ্যিক ছাড়পত্র চাইবে না সিরাম ইনস্টিটিউট

Serum Institute will not seek commercial clearance for Covishield in Europe

কোভিশিল্ড বাজারজাতকরণের জন্য ইউরোপীয় নীতিনির্ধারকদের কাছে আলাদা কোনো ছাড়পত্রের আবেদন করবে না সিরাম ইনস্টিটিউট। কারণ সিরামের অংশীদার অ্যাস্ট্রাজেনেকা ইতোমধ্যে ভারতীয় সংস্থাটিকে বিকল্প উৎপাদনকেন্দ্র হিসেবে বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে। এই ‘মার্কেটিং অ্যাপ্রুভাল’ বা বিপণন অনুমতি হচ্ছে ইউরোপ ভ্রমণে ‘গ্রিন পাস’-এর জন্য টিকার অনুমোদন সম্পর্কিত অন্যতম শর্ত।

ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে তৈরি করেছে করোনা টিকা ভ্যাক্সজেভ্রিয়া। তাদের অনুমতিসাপেক্ষে একই প্রযুক্তিতে টিকা উৎপাদন করছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট, যার নাম দেয়া হয়েছে কোভিশিল্ড।

শুক্রবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ওষুধ সংস্থার (ইএমএ) কাছে সিরামকে একটি ‘বিকল্প উৎপাদনকেন্দ্র’ হিসেবে বিবেচনার আবেদন করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৭টি দেশ কোভিশিল্ডগ্রহীতাদের কোয়ারেন্টাইনমুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়েছে। তবে বাকি দেশগুলোতে বিষয়টি ঝুঁলে থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অসংখ্য শিক্ষার্থী ও প্রবাসীকে।

সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, সিরামের উৎপাদিত কোভিশিল্ড ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি যে টিকা ইউরোপে ব্যবহৃত হচ্ছে, তা হুবহু এক। এ কারণে পৃথক কোনো অনুমোদনের দরকার হবে না। আর সিরামকে আলাদা করে কোনো মার্কেটিং লাইসেন্সের জন্য আবেদনও করতে হবে না, কারণ প্রতিষ্ঠানটি ইউরোপে কোভিশিল্ড বিক্রি করবে না।

এরপরও ইএমএ’র কাছে গত মে মাসে করা অ্যাস্ট্রাজেনেকার আবেদন আজও ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানানো হচ্ছে বারবার। অ্যাস্ট্রাজেনেকার পাশাপাশি ফাইজার, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসন ইউরোপীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেয়েছে। অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠান সেখানে ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’-এর যোগ্য বলে বিবেচিত হচ্ছে। অথচ ভ্যাক্সজেভ্রিয়ার মতো একই প্রযুক্তির টিকা হয়েও তালিকায় নেই কোভিশিল্ড।

ইইউর ডিজিটাল কোভিড সার্টিফিকেট বা ‘গ্রিন পাস’ চালু হয়েছে গত ১ জুলাই। এর আওতায় যেসব লোক ইএমএ অনুমোদিত টিকা নিয়েছেন, তারা ইউরোপ ভ্রমণের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এছাড়া ইইউর সদস্য দেশগুলো চাইলে পৃথকভাবে জাতীয় পর্যায়ে বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদিত যেকোনো টিকাকে গ্রহণযোগ্য ধরতে পারে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে ডব্লিউএইচওর স্বীকৃতি পেয়েছে কোভিশিল্ড। এরপরও সিরামের উৎপাদিত এই টিকা কবে ইউরোপের গ্রহণযোগ্যতা পাবে তা নিয়ে অনিশ্চিয়তা কাটছে না। এ অবস্থায় কোভিশিল্ড নেয়া ইউরোপগামী ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ কোটি রুপির তহবিল ঘোষণা করেছেন সিরামের প্রধান নির্বাহী আদর পুনেওয়ালা।

বৃহস্পতিবার এক টুইটে তিনি বলেছেন, প্রিয় বিদেশগামী শিক্ষার্থীরা, যেহেতু কয়েকটি দেশ এখনও কোয়ারেন্টাইনমুক্ত ভ্রমণের জন্য গ্রহণযোগ্য টিকা হিসেবে কোভিশিল্ড অনুমোদন করেনি, এজন্য আপনাদের কিছু খরচ করতে হতে পারে। আমি এর জন্য ১০ কোটি রুপি আলাদা করে রেখেছি, প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন করুন।

সূত্রঃ জাগো নিউজ

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad