ভাঙা সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

Crossing at risk with broken bridges

প্রায় ৩ মাস আগে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সেতুর একপাশ ভেঙে পড়ে। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে দুর্ভোগে পড়েন এলাকার মানুষ। বিকল্প পথ না থাকায় নিজ উদ্যোগে স্থানীয়রা বাঁশ দিয়ে অস্থায়ীভাবে সেতুর সাথে ভেঙে পড়া অংশের সংযোগ করেন। এরপর থেকে পায়ে হেঁটে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন বাসিন্দারা। যে কোনো মুহূর্তে বাঁশের সংযোগ ভেঙে পড়ে হতাহতের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।

সেতুটি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ত্রিপুরা পল্লী এলাকার।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের একটি টিলায় ২৪টি ত্রিপুরা পরিবারের বসবাস। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কয়েক বছরে এই টিলার অনেকটা অংশ ভেঙে গেছে। গত দুই বছরে ভাঙনে বিলীন হয়েছে চারটি পরিবারের বসতভিটা। এতে তারা টিলা ছেড়ে অন্য স্থানে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এ অবস্থায় বাকি ২০টি পরিবার টিলায় ঝুঁকি নিয়ে বাসবাস করছেন। এরই মধ্যে গত বছরের অক্টোবর মাসে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সেতু এবং সংযোগ সড়কটি ভেঙে পড়ে। এরপর থেকে অনেকটা টিলা বন্দি হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা।

পল্লীর বাসিন্দাদের আশঙ্কা, আগামী বর্ষার ভেতরে ব্রিজ সংস্কার না করা হলে পুরোপুরি ভেঙে পড়তে পারে সেতুটি।

ত্রিপুরা পল্লীর হেডম্যান চিত্তরঞ্জন বর্মণ বলেন, ‘চার বছর ধরেই আমাদের টিলা ভেঙে পড়ছে। এরই মধ্যে চারটি পরিবারের বসতভিটা ভেঙে যাওয়ায় তারা টিলা ছেড়ে চলে গেছেন। আমরা বারবার আমাদের টিলাকে বাঁচানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু এর কোনো সমাধান হচ্ছে না।’

এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জানি। ব্রিজের সংস্কার করতে হলে আগে ব্রিজের গুড়ায় স্লোপ মাটি ফেলতে হবে। না হলে আবার ভেঙে পড়বে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ে হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছেন।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর মো. শাহনেওয়াজ তালুকদার বলেন, ‘টিলার ভাঙন ঠেকাতে বাধ নির্মান করতে হবে। আমরা এটি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।’

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad