বর্তমান সময় ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে মানুষ খুব সমস্যায় আছে। কারো নিজের নামে ভুল কারো বয়সে ভুল, আবার কারো ঠিকানা ভুল,অনেকের পাসপোটের সাথে ভোটার আইডি কার্ডের মিল নেই ইত্যাদি সমস্যায় রয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। আর এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদেরকে। উপজেলা নির্বাচন অফিস, জেলা অফিস, আঞ্চলিক অফিস অনেক ক্ষেত্রে ঢাকা অফিসে যেতে হচ্ছে।
নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রতি কিছু মানুষের ভ্রান্ত ধারণা কাজ করে তাদের কার্যক্রম আর অনিয়ম সাধারণ মানুষের ভোগান্তি নিয়ে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকার পরও জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন নিয়ে এক অফিস থেকে অন্য অফিসে ঘুরতে ঘুরতে বছর পার হয়ে গেলেও সমস্যার সমাধান হয়না।
ঠিক এমন সময় সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার ব্যাতিক্রম উদ্যোগে হয়রানির শিকার হতে হয় না এনআইডি সেবাগ্রহীতাদের। প্রতি মঙ্গলবারে নিজ কার্যালয়ে গণশুনানির আয়োজন করে থাকেন সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃফয়সল কাদের। আর এই গণশুনানি উদ্যোগ নিয়েছেন সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃফয়সল কাদের। এর সুফল পাওয়ায় সিলেটের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ছুটে আসেন এ কর্মকর্তার কার্যালয়ে।
এই উদ্যোগ নেওয়ায় সর্বমহলে প্রশংসায় ভাসছেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃফয়সল কাদের।
সিলেট আঞ্চলিক অফিসে সেবা নিতে আসা জাহেদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন আমি আমার উপজেলাতে আমার ভোটার আইডি কার্ডের একটি সমস্যা নিয়ে গিয়ে ছিলাম তারা যে আমারে কি ভোগান্তির মাঝে পেলছিলো আমি বলে বুঝাতে পারব না,কিন্তু আমি ভোগান্তি পেয়ে উপজেলা থেকে জেলা অফিসে আসি এবং ফয়সল কাদের স্যারের সাথে কথা বলেই আমার সমাধান হয়ে গিয়েছে। তিনি আরো বলেন এমন নির্বাচন কর্মকর্তা আছেন বলেই আমরা সাধারণ মানুষ ভোগান্তি থেকে রক্ষাপাই আল্লাহ কাছে স্যারের জন্য দোয়া করি।
রুবেল হোসেন নামের আরেকজন বলেন ফয়সল কাদের স্যার এখন বিভাগীয় প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা কিন্তু ওনার সাথে দেখা করতে কারো অনুমতি লাগে না এবং উনি নিজে বড় করে অফিসের সামনে ব্যানার লাগিয়ে রেখেছেন “আমার দরজা সবার জন্য উন্মুোক্ত আমার সাথে সাক্ষাৎ করতে কারো পারমিশন লাগবে না”। তিনি বলেন এমন নির্বাচন কর্মকর্তা পেয়ে আমরা সিলেট বাসী সত্যিই খুব গর্বিত।
ফয়সল কাদের বলেন আমার কাছে ধনী গরিব সবাই সমান। কোন অভিযোগ পেলে বা কেউ আমার কাছে আসলে সমাধানের দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। তিনি আরোও বলেন আমার কাছে কেউ আসলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকলে আমি চেষ্টা করি তার সমস্যা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করে দিতে। তিনি আরোও বলেন, বর্তমান সরকারের সময় অনেক সহজ হয়েছে ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনে ঘরে বসে আবেদন করা যায়। আবেদন করার পর আপনার আরো কী কী ডকুমেন্টস লাগবে তা ও বলে দেওয়া হয়। ভোগান্তি আমি মনে করি অনেকটা কমে এসেছে। আগে যেখানে সংশোধন করতে ঢাকা অফিসে নিয়ে জমা দেওয়া লাগত এখন কিন্তু তা ঘরে বসেই হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন সততা ও নিষ্ঠার সাথে এভাবেই কাজ করে যেতে চাই।
উল্লেখ্য যে, ফয়সল কাদের কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাস্ট্র বিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করেন। তিনি বর্তমানে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে সিলেট বিভাগের প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা হিসাবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি সিলেট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসাবে ২০২০ সালে যোগদান করে এমন ভাবে কাজ করছিলেন ফয়সল কাদের যাতে সিলেটের মানুষ জেলা অফিসে এসে কোনো ধরনের ভোগান্তির শিকার না হয়।সাধারণ মানুষের জন্য নিজের দরজা উন্মুোক্ত রাখছিলেন এতে দেখা গিয়েছে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অনেক টা কমে আসছিলো। আর এমন কাজের প্রশংসায় ভাসছেন ফয়সল কাদের।